শারমিনা আক্তার, স্বামী-মৃত সাইফুল আলম, সাং-জয়নগর,সলিমুল্লাহ উকিল বাড়ি,ডাকঘর-আবুরহাট, থানা-জোরারগঞ্জ, উপজেলা-মীরসরাই, জেলা-চট্টগ্রাম, মোবাইল- ০১৮৬৪-৮৩৮০৭৭ ................................................................................................................................বাদিনী
বনাম
১) মোঃ আশরাফুল আলম বিপুল, ২) মোঃ তৌহিদুল আলম নিপুন পিতা- মৃত মোঃ আমান উল্ল্যাহ, ৩) বদরের জাহান, স্বামী-মৃত আমান উল্ল্যাহ, সর্বসাং-জয়নগর,সলিমুল্লাহ উকিল বাড়ি,ডাকঘর-আবুরহাট, থানা-জোরারগঞ্জ, উপজেলা-মীরসরাই, জেলা-চট্টগ্রাম,.....................................বিবাদীগন
আদেশের তারিখ |
আদেশের বিবরন |
চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর
|
২৭/০৮/২০২৩ইং
|
অদ্য সুত্রোক্ত মামলার ধার্য্য তারিখ। মামলার বাদী, বিবাদী ও তাদের মনোনীত প্রতিনিধিগণ উপস্থিত আছেন।
মামলার আর্জি পর্যালোচনাঃ-
সূত্রোক্ত মামলায় বাদীর আর্জি পর্যাচোলনায় দেখা যায় মামলার বাদীর সহিত সূত্রোক্ত মামলার ১ও ২ নং বিবাদীর ভাই ও ৩নং বিবাদীর ২য় পুত্র মোঃ সাইফুল ইসলামের সহিত ২৭/০৮/২০১৮ইং তারিখে ইসলামী শরীয়াহ মতে পারিবারিকভাবে বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিবাহ পরবর্তীতে তারা সুখে শান্তিতে দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করা অবস্থায় গত ২৫/০২/২০২২ইং তারিখে বাদিনীর স্বামী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরন করেন। বাদী-বিবাদীর সংসারে কোন সন্তান নাই। গত ১০/০৪/২০২২ইং তারিখে বিবাদীগন একত্রিত হয়ে বাদিনীকে জোর পূর্বক এক কাপডে স্বামীর ঘর হইতে বাহির করিয়া দেন। পরবর্তীতে বাদিনী ও তাহার পরিবার তাহার জজিয়ত সূত্রে প্রাপ্য অধিকার চাইতে গেলে বিবাদীগন মারমুখী হয়ে বাদিনীনে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে কোন পাওনা প্রদানে অস্বীকৃতি জানান। তৎআলোকে বাদিনী গত ০৭/০৩/২০২৩ইং তারিখে মাননীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার,মীরসরাই,চট্টগ্রাম বরাবরে তাহার সকল পাওনা আদায়ের জন্য স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি মিলিয়ে সর্বমোট ৩৪ লক্ষ ১৫ হাজার টাকার দাবী জানিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। মাননীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীরসরাই,চট্টগ্রাম উক্ত অভিযোগ মীমাংসার নিমিত্তে অত্র ৬নং ইছাখালী ইউনিয়ন পরিষদের স্থানান্তর করেন।
আদালতের কার্যক্রমঃ-
মাননীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার,মীরসরাই,চট্টগ্রাম কর্তৃক বাদিনীর অভিযোগখানা গত ২০/০৩/২০২৩ইং তারিখে অত্র ৬নং ইছাখালী ইউনিয়ন পরিষদে স্থানান্তরিত হলে গত ০৯/০৪/২০২৩ইং তারিখে শুনানীর দিন ধার্য্য করে বাদী – বিবাদীর প্রতি নোটিশ ইস্যু করা হয়। উক্ত তারিখে বাদী-বিবাদী উভয় পক্ষ অত্র আদালতে হাজির হন। বিবাদীগনকে বাদীর অভিযোগ পডে শুনানো হয় এবং মামলার আর্জির কপি সরবরাহ করত সালিশী আদালত গঠন করা হয়। পরবর্তীতে একাধিকবার উক্ত অভিযোগের উপর শুনানীর অনুষ্ঠিত হয়। অদ্য ২৭/০৮/২০২৩ইং তারিখে উক্ত অভিযোগের উপর চুডান্ত শুনানীর দিন ধার্য্য করে উভয় পক্ষকে নোটিশ প্রদান করা হয়। উক্ত নোটিশের আলোকে উভয় পক্ষের উপস্থিতে দীর্ঘ শুনানী অনুষ্ঠিত হলেও উভয় পক্ষ একমতে পৌছাতে ব্যার্থ হয়।
অত্র আদালতের সিদ্ধান্তঃ
অদ্য দীর্ঘ শুনানী শেষে বাদী পক্ষ তাহার দাবীকৃত সর্বমোট ৩৪ লক্ষ ১৫ হাজার টাকার বিপরীতে সকল দাবী বাবদ মং- ২০,০০,০০০/- (বিশ লক্ষ) টাকার দাবী উপস্থাপন করেন । কিন্তু বিবাদী পক্ষ সর্বমোট -৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা প্রদান করার অভিমত ব্যক্ত করেন। দীর্ঘ আলোচনান্তে সকল প্রচেষ্টা স্বত্তেও উভয় পক্ষ একমতে পৌছাতে ব্যর্থ হয় ফলত অভিযোগ খানা মীমাংসা করা সম্ভব হয় নাই।
সার্বিক দিক বিবেচনায় অত্র আদালতের নিকট প্রতিয়মান হয় যে, বাদীর অভিযোগখানা অত্র আদালতে মীমাংসা করা সম্ভব নয়। তাই বাদিনীকে তাহার দাবী আদায়ের জন্য উচ্চ আদালতের স্বরনাপন্ন হওয়ার পরামর্শ প্রদান করা হইল এবং সংশ্লিষ্ঠ আদালতে বাদিনীকে মুসলিম পারিবারিক আইন ও উত্তরাধিকার আইন অনুসারে সার্বিক সহযোগীতার জন্য সুপারিশ করিলাম।
|
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস